ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা ইনকাম করা যায় কিভাবে

অনলাইনে থেকে লক্ষ টাকা আয় করার উপায়

প্রিয় পাঠক গণ ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা ইনকাম করতে চান ? তাহলে আপনারা সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। অনলাইনে কিভাবে লক্ষ টাকা আয় সম্ভব তা আপনারা এই আর্টিকেল পড়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনাদের মাঝে এ বিষয়ে কথা তুলে ধরা হয়েছে যেসব মাধ্যম দিয়ে লাখ টাকা ইনকাম করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত জানুন?

ভুমিকা

বর্তমান প্রযুক্তির যুগে মানুষ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। এই প্রযুক্তি ও অনলাইন নির্ভর মানসিকতা বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটে আয় করার অনেক সুযোগ সৃষ্টি করেছে।অনলাইনে সহজেই মানুষ ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারছে। আমাদের দেশের লাখ লাখ মানুষ বর্তমানে এই অনলাইন ইনকামের উপর নির্ভরশীল।

অনলাইনে বিভিন্ন পদ্ধতিতে খুব সহজেই আয় করা সম্ভব। আপনি কি তা করতে আগ্রহী? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য লিখিত।আজ থেকে ১০ বছর আগে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে এখন লাখ টাকা ইনকাম করা যতটা কঠিন ছিল, এখন তা অনেক সহজ হয়ে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ফলে, বিভিন্ন সমস্যার কারণে ১০ বছর আগেও অনলাইনে আয় করা ভাবা যেত না।

তবে আজকের বাংলাদেশে মানুষ ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা ইনকাম করে তাদের নিজাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। বর্তমানে অনলাইন থেকে মানুষ কেবল উপার্জনই করছে না; এই অনলাইন উপার্জনের মাধ্যমেই অনেক পরিবারে স্বচ্ছলতা আসছে।বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই অধিকাংশ কাজ অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে।

আগে যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হতো, তবে নিজে উপস্থিত হয়ে ফর্ম সংগ্রহ করতে হতো।আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি না যে আপনি শুরুতেই অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে, যদি আপনার ধৈর্য থাকে এবং আপনি কোনো একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠেন, তবে আপনি অনলাইন থেকে প্রতি মাসে অনেক বড় পরিমাণ অর্থ সহজেই উপার্জন করতে পারেন।

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২৪

অনলাইন থেকে আয় করার সুবিধাগুলো ২০২৪ সালে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা এতটাই বেড়েছে যে, অনেকেই প্রচুর চেষ্টা করেও চাকরি পাচ্ছে না এবং হতাশ হয়ে পড়ছে।আমরা দেখেছি যে, করোনা মহামারীর সময় অনেক মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছেন। চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। চাকরির মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায়। কিন্তু অনলাইন থেকে উপার্জনের ক্ষেত্রে কোনো সীমা নেই। কেউ হাজার হাজার বা লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারে, আবার কেউ এক টাকাও উপার্জন করতে পারে না।শুধু মাত্র ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল ফোন দিয়ে ইনকাম করার সহজ উপায়
অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা ইনকামের জন্য কিছু জিনিস মনে রাখা জরুরি। আপনি চাকরি বা পড়ালেখার পাশাপাশি অতিরিক্ত সময়ে অনলাইনে আয় করতে পারেন। এর ফলে বাজারের জ্ঞান বাড়বে এবং নিজের খরচ নিজে বহন করতে পারবেন।

ধরুন, আপনি চাইলে নিচের পাঁচটি বিকল্প ব্যবহার করে পড়ালেখা করার পাশাপাশি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন:

অনলাইন শিক্ষক হওয়া: আপনি বিষয়টির জন্য অনলাইন টিউটর হিসেবে রাজি হতে পারেন। এর জন্য স্থানীয় বা গ্লোবাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন।

অনলাইন লেকচার দেওয়া: আপনি নির্দিষ্ট বিষয়ে ওয়েবিনার অনুষ্ঠান করে লেকচার দেওয়া শুরু করতে পারেন এবং ইনকাম করতে পারেন।

ই-বুক লেখা: আপনি আপনার প্রকৌশল বা জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে ই-বুক লেখা করতে পারেন এবং অনলাইন বই বিক্রি করতে পারেন।

অনলাইন ব্লগিং: একটি ব্লগ শুরু করে আপনার রচনার মাধ্যমে পড়ালেখা করার উপর ভিত্তি করে আয় করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ: আপনি যে কোনও দক্ষতার মাধ্যমে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন, যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডেটা এন্ট্রি, ইত্যাদি।

এই সকল মাধ্যম গুলো আপনি সমৃদ্ধ করতে পারেন এবং পড়ালেখার পাশাপাশি আরও অনলাইন ইনকাম করতে পারেন।

ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায়

ইন্টারনেটের যুগে ঘরে বসে আয় করা এখন আর স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তবতা। অনলাইনের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই আয় করতে পারি, যা করোনাকালে আরও বাস্তব রূপ পেয়েছে। আজকের দিনে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। তাই ঘরে বসে আয় করা সহজ হয়েছে, কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনা এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করা অত্যাবশ্যক।

নিরাপদে ও সঠিকভাবে অনলাইনে আয় করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনে শুরু করে আগামীকাল থেকেই উপার্জন শুরু করার আশা করা ঠিক নয়। ইন্টারনেটে অনেক প্রলোভন ও প্রতারণার ফাঁদ রয়েছে, তাই সবকিছু ভালোভাবে জেনে-বুঝে অনলাইনে আয়ের পথ বেছে নেওয়া জরুরি। ঘরে বসে আয় করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজ।

মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

ঘরে বসে আয় করার জন্য প্রথমে কোন ধরনের সেবা প্রদান করা যায় তা নির্ধারণ করা জরুরি। এরপর, সেই সেবা কোথায় প্রদান করা যাবে তা জানা প্রয়োজন। ঘরে বসে আয় করার একটি প্রধান উপায় হলো ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা টাকা ইনকাম করা যা অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে করা যায়।

বর্তমানে আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া যায়। এসব প্ল্যাটফর্মে আপনি ঘণ্টা ভিত্তিতে বা গিগ সার্ভিসের মাধ্যমে আপনার কাজের মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। যে কোন প্রজেক্ট বা গিগে বর্ণিত সার্ভিস দেওয়ার পর বায়ার যদি কাজটি অনুমোদন করে, তবেই আপনি আয়ের নিশ্চয়তা পাবেন। পুরো ফ্রিল্যান্সিং প্রক্রিয়া ঘরে বসেই সম্পন্ন করা সম্ভব এবং বিভিন্ন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা ইনকাম করে পেমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি টাকা উত্তলোন করতে পারবেন।

ঘরে বসে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে লাখ টাকা আয়

গুগল অ্যাডসেন্সে মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করা যায়। আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। গুগল অ্যাডসেন্স আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেখাবে এবং ব্যবহারকারীরা যখন সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে, আপনি গুগল থেকে অর্থ পাবেন। ঘরে বসে অনলাইনে নিরাপদ ও সহজে আয় করার একটি উপায় হলো গুগল অ্যাডসেন্স। পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে নিয়মিতভাবে আপনার সাইটে ভিজিটর বাড়ানোর মাধ্যমে আপনার আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব।

ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট করে আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে অন্যদের পণ্য প্রচার করেন এবং বিক্রি থেকে কমিশন পান। আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যত বেশি পণ্য বিক্রি হবে, আপনার আয়ও তত বেশি হবে। এই ক্ষেত্রে অ্যামাজন অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান।

ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে লাখ টাকা আয় করা যায়

ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করে তার বিনিময়ে অর্থ দাবি করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে, এবং যিনি এই কাজগুলো করে দেন তাকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। অনেকেই এই ফ্রিল্যান্সিং কাজকে মুক্তপেশা হিসেবে উল্লেখ করেন, কারণ এই পেশায় আপনি নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন, পছন্দমত কাজ বেছে নিতে পারবেন, এবং ইচ্ছেমত কাজ ছেড়ে দিতে পারবেন।

পাঁচ বছর আগে যা ছিল এখন তা অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং যুগে যদি আপনার পর্যাপ্ত দক্ষতা না থাকে, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। এখন ফ্রিল্যান্সিং বাজার একটি প্রতিযোগিতামূলক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আয় করা তো দূরের কথা, কাজ পাওয়াটাই এখন মুশকিল। কারণ প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমন প্রতিযোগিদের সংখ্যাও বাড়ছে।

প্রতিটি সাধারণ জব পোস্টে হাজার হাজার বিড পড়ায় অনেক ফ্রিল্যান্সার হুমড়ি খেয়ে পড়েন এবং বেশিরভাগই ব্যর্থ হন। যারা ব্যর্থ হন, তাদের মধ্যে একটা কনফিউশন কাজ করে যে কোন কাজের জন্য বিড করবেন বা কোন কাজ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন যাতে তাদের চাহিদা বাড়ে। আজকে আমি আপনাদের সামনে কিছু মার্কেটপ্লেসের চাহিদাসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজের রিসার্চ নিয়ে হাজির হয়েছি যা আপনাদের বেশি আয় করতে সাহায্য করবে।

ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা ইনকাম করা যায় যেসব কাজ করে সেসব কাজগুলো হলোঃ
  1. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
  2. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  3. ডেটা অ্যানাল্রটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  4. আর্টিকেল রাইটিং
  5. গ্রাফিক্স ডিজাইন
  6. ডিজিটাল মার্কেটিং
  7. সোশ্যাল মিডিয়া মানেজার
  8. এসইও এক্সপার্ট
  9. ভিডিও এডিটর
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টঃ প্রোগ্রামিং কাজগুলো, বিশেষত কম্পিউটার সফটওয়্যার এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা খুব বেশি। কারণ এটি একটি বিশেষ দক্ষতার কাজ, যা সবাই করতে পারে না, ফলে এর পারিশ্রমিকও বেশি হয়। আপনি যদি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট শিখেন, তাহলে প্রতি ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮০ ডলার আয় করতে পারেন।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের জন্য আপনি নিম্নোক্ত ভাষাগুলো শিখে নিতে পারেন..
সি (C)
জাভা (Java)
পাইথন (Python)
সি প্লাস প্লাস (C++)
(JavaScript) জাভাস্ক্রিপ্ট
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সবচেয়ে বেশি আয়ের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। আপনি যদি এই পেশা বেছে নেন, তাহলে একটি প্রোগ্রামিং ভাষা শিখে কাজ শুরু করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, একবারে সব ভাষা শিখতে যাওয়া উচিত নয়। একটি করে শিখে তাতে দক্ষ হয়ে তারপর অন্য ভাষায় যান।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের পরে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হতে পারেন, তাহলে আপনাকে আর টাকার জন্য দৌড়াতে হবে না, টাকা নিজেই আপনার কাছে আসবে। বর্তমানে সব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডেভেলপারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল আসিস্ট্যান্টঃ ডেটা অ্যানালিটিক্স শব্দটি শুনলেই ধারণা করা যায় যে এর কাজ হলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডেটা বিশ্লেষণ। এই বিশ্লেষণে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ডেটা অন্তর্ভুক্ত থাকে।আমাদের দেশে বা অন্য দেশের অনেক কোম্পানির নিজস্ব ডেটা অ্যানালিটিক্স টিম থাকলেও, তারা প্রায়ই ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করে। ফ্রিল্যান্সাররা ডেটা অ্যানালিটিক্সে প্রতি ঘণ্টায় ২০ থেকে ৫০ ডলার আয় করতে পারেন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হল এমন একটি সেবা যা কাউকে বা কোনো টীমকে তাদের কাজগুলো সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। বর্তমানে অনলাইনে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্টের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৮ সালের প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে এই পদের সংখ্যা ছিল ৭,৯২৫টি। এক বছরের ব্যবধানে, ২০১৯ সালে, এই চাহিদা বেড়ে ১২,৩২৯টি হয়েছে।

এই পদে দ্রুত উপার্জনের সুযোগ থাকায় অনেকেই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্টের চাকরি নেন। এখানে গ্রাহকসেবা, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ব্লগ পোস্টিংসহ ভার্চুয়াল অফিসে বিভিন্ন কাজ করতে হয়, যা বাস্তব অফিসের সহকারীর মতোই।

মূলত, ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করে থাকেন। এই ফ্রিল্যান্সাররা তাদের ক্লায়েন্টদের পক্ষ থেকে শপিং, রেস্টুরেন্ট রিজার্ভেশন, মেডিক্যাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট, ইমেইল হ্যান্ডলিং সহ বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করেন। এই কাজে একজন ফ্রিল্যান্সার প্রতি ঘন্টায় ১২ থেকে ২০ ডলার আয় করতে পারেন।

আর্টিকেল রাইটিংঃ রাইটিং বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত, কারণ লেখালিখি কেবল কাগজে কলম চালানো নয়, এটি একটি জ্ঞানভিত্তিক এবং সৃজনশীল কার্যক্রম। একটি নিবন্ধ লেখার সময় কিওয়ার্ড রিসার্চ, পাঠকের চাহিদা এবং অন্যান্য ক্ষুদ্রতর বিবেচনাগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখতে হয়। কোম্পানির হয়ে লেখার সময় তাদের ব্র্যান্ডিং এবং এসইও ফ্রেন্ডলি লেখা তৈরি করা অপরিহার্য। যদিও বর্তমানে ফ্রিল্যান্স রাইটিং জব পাওয়া কিছুটা চ্যালেঞ্জিং, তবে ভাল লেখক হলে কাজের অভাব হবে না। আপনি নিজের ব্লগের মাধ্যমেও মাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ ডিজাইন একটি সৃজনশীল প্রচেষ্টা। এই পৃথিবীতে কেউই সৃজনশীল মনন নিয়ে জন্মায় না; বরং কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে একজন সৃজনশীল শিল্পী হয়ে ওঠে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। যত সুন্দর ডিজাইন করবেন, তত আপনার কাজের প্রশংসা হবে এবং চাহিদা বাড়বে।

প্রোগ্রামারঃ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যতগুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজ হলো প্রোগ্রামিং। এই সেক্টরে কাজের পরিমাণ ও চাহিদা যেমন অনেক বেশি, তেমনি দক্ষ ফ্রিল্যান্সারের অভাবও রয়েছে। কারণ, এই কাজটি অনেক জটিল প্রকৃতির। তাই সফল হতে চাইলে সেই কাজটি বেছে নিন যেটার প্রতি অন্যরা কম আগ্রহী। এতে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম হবে এবং সফল হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।

প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন C++, জাভা, HTML, এবং C ব্যবহার করে প্রোগ্রামাররা কোড লিখে এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন কমান্ড পরিচালনা করে, যা অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার তৈরিতে ব্যবহৃত
হয়। প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা আনলে, পেশাদার পর্যায়ে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১৫০ ডলার আয় করা সম্ভব।

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ মার্কেটিং বলতে আগে দোকানে বা বাজারে গিয়ে পণ্য বিক্রি করাকে বুঝানো হতো। বর্তমানে প্রচারণা বা পণ্য বিক্রি করার জন্য বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, ঘরে বসেই সম্ভব। এটিই ডিজিটাল মার্কেটিং, যা আপনাকে সফল ফ্রিল্যান্সার বা ডিজিটাল মার্কেটার হতে সাহায্য করতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ আমরা অনেকেই প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকটা সময় কাটাই। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যায়, যা মাঝে মাঝে আমাদের উপকারে আসে। আপনি চাইলে এই বিজ্ঞাপন বা সোশ্যাল মিডিয়া মেইন্টেইনেন্সের দায়িত্ব নিতে পারেন। এখানে অডিয়েন্সের পছন্দ-অপছন্দ বিশ্লেষণ করে তাদের পছন্দমতো কনটেন্ট তৈরি করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে এক্সপার্ট হলে প্রতি ঘন্টায় ১৫ থেকে ৩৫ ডলার আয় করতে পারবেন।

এসইও এক্সপার্টঃ যারা ব্লগার বা ওয়েবসাইট ওনার, তারা এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে সুপরিচিত। বর্তমানে এসইও মার্কেটিং সবচেয়ে ট্রেন্ডিং এবং চ্যালেঞ্জিং মার্কেটিং হিসেবে পরিচিত। একজন এসইও এক্সপার্ট হতে গেলে ধৈর্য এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়, এবং দীর্ঘদিন যাবত কাজ করতে হয়। এসইও এক্সপার্ট হওয়ার জন্য অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করার পাশাপাশি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করেও ইনকাম করতে পারেন। এসইও এক্সপার্টের দাম প্রতি ঘন্টায় ১০০ থেকে ১৫০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

ভিডিও এডিটরঃ বর্তমানে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউটিউব থেকে শুরু করে ফেসবুক, ট্যুইটার, পিন্টারেস্ট, ইন্সটাগ্রাম ও লিংকডইন সহ সব ধরণের প্ল্যাটফর্মে ভিডিওর চাহিদা রয়েছে এবং সেই ভিডিওকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ভিডিও এডিটিং প্রয়োজন। তাই বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি তাদের ভিডিও বিজ্ঞাপন তৈরির জন্য ভিডিও এডিটর অনুসন্ধান করছেন।

আপনি যদি ভিডিও এডিটিং শিখে প্রতি মাসে এক দুই লাখ টাকা ইনকাম করতে চান, তবে এটি সম্ভব হতে পারে যদি আপনি ভালো প্রকারে শিখে প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেন এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান। প্রথমত, আপনাকে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার শেখার জন্য সময় পরিশ্রম দিতে হবে। তারপরে, পুরোপুরি লিখে দিলে নিজের কাজের দ্বারা আয় করার জন্য প্ল্যাটফর্ম ও প্রতিযোগিতামুক্ত স্বচ্ছ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ








একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ